জীবনী
আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ, যিনি জনগণের জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনরত জনাব চৌধুরীর দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মজীবনের শুরু বাংলাদেশ ছাত্রদল থেকে। তিনি সিলেট বিএনপির সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন এবং ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন তাঁর দক্ষতা ও অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা তাঁকে প্রকৃত পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি কী করেছেন
সিলেট শহরের জন্য জনাব আরিফুল হক চৌধুরীর কিছু শীর্ষ কৃতিত্ব:
১. সিলেট ন্যাচারাল পার্ক
২. পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠা
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
জনাব চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সিলেট ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি। ২০০৮ সালের ৫ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী শামা হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে, যার সকল অভিযোগ থেকে তাঁরা ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল খালাসপ্রাপ্ত হন।
২০১৩ সালের জুন মাসে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে জনাব চৌধুরী সিলেট শহরের মেয়র হন। তিনি ৩৫,০০০ এরও বেশি ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন।
জনাব চৌধুরী সিলেটের ২০১৮ সালের মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক মনোনীত হয়েছিলেন। তাঁর পুনর্নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছিলেন । তিনি ১২ আগস্ট ২০১৮ সালে সিলেটের মেয়র হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে ৬,১৯৬ ভোটে পরাজিত করেন।
এই আসনের জন্য পরিকল্পনা
আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-৪ আসনের জনগণের জন্য ইতিবাচক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করছেন। তিনি এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের শিক্ষার সুযোগ উন্নত করার, পাথর-খনি শ্রমিক, চা-বাগান শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জন্য উচ্চ আয় ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার এবং কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট এবং জৈন্তাপুরের জনগণের জন্য সকল অবকাঠামো এবং ইউটিলিটি সংযোগ উন্নয়নের পরিকল্পনা করছেন।